হ্যালো আপনাদের অভিনন্দন আজ চলে এলাম আর একটি চর্চিত সিনেমা  'দ্য কাশ্মীর ফাইল' নামের ছবিটা নিয়ে। তো  এই ছবিটার বিষয়বস্তু কি আপনারা জানেন নতুন করে বলার কিছু নেই। যে কাশ্মীরে তখন 1919 কি হয়েছিল। কিভাবে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের কে সেখান থেকে করে দেওয়া হয়েছিল এবং তার সাথে সাথে যেটা টেলার দেখে আমরা  বুঝতে পেরেছিলাম বর্তমানের একটা বিষয়ে কথা বলা রয়েছে। তো এখানে ফ্ল্যাশব্যাকের মাধ্যমে গল্পটা বলা হয়েছে অনেক জায়গায়। 

 

মূলত যে genocide টা হয়েছে সেটাকে একটা পরিবারকে কেন্দ্র করে দেখানো হয়েছে। মানে অনুপম খেরের পরিবারটির উপর বেশি করে ফোকাস করা হয়েছে। যাতে একটি পরিবারের উপর কি হয়েছে সেটার দিকে বেশি ফোকাস করে এবং তাকে কেন্দ্র করে বাকি যে ঘটনাগুলো বড় বড় ঘটনাগুলো ঘটেছে সেগুলো কে দেখানো হয়েছে। এটা একটা গল্প বলার ধরন। এটাতে কোন খারাপ নেই বরং এই ক্যারেক্টারগুলোর আবেগ সাথে আপনি বেশি করে জুড়ে যেতে পারবেন। সেই জন্যই এই টেকনিক ব্যবহার করা হয়। আর এখানে বেশিরভাগই ফ্ল্যাশব্যাকের মাধ্যমে মাধ্যমে গল্পটাকে দেখানো হয়েছে। যে ফ্ল্যাশব্যাকের মধ্যে ফ্ল্যাশব্যাক এভাবে রয়েছে।

আরও পড়ুন: Job Interview দিতে যাওয়ার আগে অবশ্যই একবার পড়ুন , চাকরির ইন্টারভিউ সহজেই পাশ করার কৌশল !

 তা আমার যেটা মনে হয় যে, যেহেতু মিডিয়া আমাদের কাছে ঠিকঠাক ভাবে রিপোর্ট করে নি তখনই। তাই এটার ব্যাপারে বহু মানুষ জানে না এবং এটি খুবই হৃদয়বিদারক একটি ছবি‌। নির্মমতা কে নির্মম ভাবে পেশ করেছে বিবেক অগ্নিহত্রী তো সেই সব জিনিস মানুষের মনে খুব প্রভাব ছাড়বে । কিন্তু আমার মনে হয় সাধারণ দর্শকের কাছে পৌঁছে যেটাকে অনেক সোজা পথে বললে আরো ভালো হতো। এই একটা জিনিসই আমার এই ছবিটার খেতে একটু নেগেটিভ মনে হয়েছে যে এই স্ক্রিন প্লেটা সাধারণ দর্শকের বুঝতে গেলে সমস্যা হবে। সেখান থেকে বলতে গেলে  সোজাসাপ্টা পথে বলাটা উচিত ছিল। এটা আমার মনে হয়েছে এবং কিছু জায়গায় সামান্য ডায়লগ এর মধ্যে অসঙ্গতি মনে হয়েছে। কিন্তু বাকি অনেক জায়গায় রয়েছে যেখানে ডায়লগ খুবই ভালো এবং যেভাবে বিবেক অগ্নিহোত্রী দেখিয়েছে যার জন্য ইনি একজন ভালো ডিরেক্টর আমার মনে হয়। কারণ এর আগে ধ্যান ধ্যানা ধ্যান গোল তাছাড়া চকলেট  আমার খুব ভালো লেগেছে ছোটবেলায়। বিবেক আগ্নিহত্রী ছবিগুলিকে খুবই ভালোভাবে উপস্থাপনা করতে পারে এবং আবেগটিকে খুবই ভালো ভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারে ‌‌‌‌‌‌‌‌‌এবং সেই জিনিসটা এখানেও দেখিয়েছেন। 

 

আর এখানে কর্মক্ষমতা খুবই ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেছেন এবং এটিতে বেস্ট কর্মদক্ষতা দেখিয়েছেন অনুপম খের। অনুপম খেরের পারফরম্যান্স জাস্ট আউটস্ট্যান্ডিং। আর তারপরে যদি বলি তাহলে মিঠুন চক্রবর্তী তারপরে পল্লবী যশি এবং তারপর দার্শনের প্রত্যেকের পারফরম্যান্স খুবই ভালো লেগেছে এবং পারফরম্যান্স গুলিতে ইমোশনাল ব্যাপারটা আছে সেজন্য পারফরমেন্সের উপর প্রচন্ড বেশি ডিপেন্ড করছে তাদের চরিত্র। অনুপম খের খুব ভালো সেটাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। অনুপম খেরের উপর সিনেমাটা দাঁড়িয়েছে। আর অনুপম খেরের এতটা বাস্তবসম্মত মুখ হওয়ার কারন হয়তো এটার যে, সে একজন কাশ্মীরি পন্ডিত। সেই কারণেই তার দৃষ্টান্ত এতটা অথেন্টিক লাগছে আমার মনে হয়। যেটা বললাম কিছু জায়গায় ডায়লগ অসামঞ্জস্যপূর্ণ লেগেছে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে খুবই হৃদয়বিদারক ডায়লগ রেয়েছে যেটি আপনার মানে প্রভাব ফেরবে এবং সিনেমার যে সামগ্রিক প্রেজেন্টেশনটা রয়েছে সেটা আপনাকে ব্যাপারগুলোকে দেখাচ্ছে, যেভাবে ফ্যাক্ট গুলোকে দেখাচ্ছে বিভিন্ন পয়েন্ট অফ ভিউ আপনার সামনে তুলে ধরতে এবং সেটার মধ্যে আপনি নির্দিষ্ট করে কোন আইডিওলজি টা নিতে চান। কোন আইডোলজিটা আপনার ঠিক মনে হয় সেটা আপনি নিয়ে বেরতে পারেন। সেগুলোকে সেইভাবে উপস্থাপনা করা হয়েছে। এটা খুব ভালো গল্প বলার ধরন কিন্তু এটিকে ম্যাচুরিটি ফ্রম অফ স্টরি টেলিং। আমার মনে হয় কোথাও গিয়ে একটু জিনিসটাকে সিমপ্লিফাই করা উচিত ছিল। যাতে সাধারণ দর্শক বুঝতে পারে। আমি ব্রটালিটি দিক থেকে বলছি না সিমপ্লিফাই করতে। সেটাতো যেমন তেমন দেখালে ততই বেশি ইনপ্যাক্ট হবে। সিনেমাটা সত্যি বলছি আপনার উপর একটা ইফেক্ট ফেলতে আর কি সক্ষম হয়। যখন আপনি ছবিটা দেখা শেষ করবেন আপনাকে জিনিসটা ভাবেবে বারবার। যেটা খুবই প্রয়োজন রয়েছে এবং খুবই রিচার্জ একটা ছবি এবং যেভাবে ফুটেজ ইত্যাদি ওদেরকে দেখিয়েছে সেগুলো খুবই মানে বোঝাতে যে সেখানে খুব ভালো রিচার্জ হয়েছে। খুবই ভালো একটা ছবি হয়েছে আপনারা প্রত্যেকে দেখুন এবং এই রাধে শ্যাম বলে ছবিটি বেরিয়েছে একেবারে নিম্নমানের এক্সপেক্টেশন ছবি হয়েছে। আপনি যদি ভাবছেন উইকেন্ডে কোন ছবি দেখব এবং যদি ফ্যামিলি এন্টারটেনমেন্ট করতে চান তাহলে The Kasmir Files আপনার জন্য নয়। 

 

কিন্তু যদি আপনি ভাবেন কিছু জানতে চান এবং যেটার ব্যাপারে আমরা শুনেছি, এক লাইনের শোনা এবং সেটা কতটা কি গুরুতরভাবে ছিল এবং স্বাধীনতার পর স্বাধীনতার সময়ে যে একটা বিশাল বড় ঘটনা ঘটেছিল তার পরে এটা একটা খুব বড় একটা ইভেন্ট। যেটা ঘটেছে সেটা ব্যাপারে জানা উচিত।সেই কারণে সেটা যদি জানতে চান ডেফিনেটলি ছবিটা কি আপনার হলে দেখুন। আমার ব্যক্তিগত বেশ ভালো লেগেছে এবং এটা যে মোটিভ টা নিয়ে বানানো হয়েছিল যে লোকে ভাববে সেটা খুব সফলতার সঙ্গে করতে পারছে। টেকনিক্যালি দ্য ফিল্ম ইজ অলসো ওয়েল মেড মানুষ কে ভাবেবে। ক্যামেরা বলুন, বা যেভাবে সাউন্ড ডিজাইন, সাউন্ড মিক্সিং রয়েছে সেগুলো খুব ভালো। এটাই বলার ছিল আপনারা যদি কেউ দেখে থাকেন তাহলে কমেন্টে জানাবেন।

আরও পড়ুন: শেয়ার মার্কেটের খেলাটা বুঝতে শিখুন , শেয়ার বাজার কোন জুয়া না !

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন